জামিয়ার সামনে বিপ্লবের স্কুল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০৪
Share:

পাঠ: জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চলছে ক্লাস। নিজস্ব চিত্র

সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হত এরাও— বালক এবং কিশোরের একটি দল। কেউ স্কুলছুট, কেউ স্কুলে যায়ইনি কোনও দিন। কিন্তু জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের জমায়েতে, মিছিলে হাঁটে, স্লোগান দেয়, পতাকা নিয়ে দৌড়য়।

Advertisement

বিষয়টা নজরে এসেছিল সাহিল আহমেদ, আহমেদ নভি রিজ়ভির। সাহিল জামিয়ার পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ়ের মাস্টার্সের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। রিজ়ভি জামিয়ার আইনের স্নাতক। সাহিল জানান, দিন কয়েক আগে ওই কিশোর-বালকদের ডেকে পাশে বসান । গল্প শুরু করেন, জানতে চান, যে স্লোগান দিচ্ছো। মানে জানো? উত্তর যে ‘না’ হবে, জানাই ছিল। সাহিলের কথায়, ‘‘ আমরা বলি, স্লোগানের অর্থ বুঝতে হবে আর তা বুঝতে হলে লেখাপড়া করতে হবে। গল্প বলে বলে অবশ্য এ-ও বোঝাতে চেষ্টা করেছি, গণতন্ত্র কী, যুক্তরাষ্ট্র কাকে বলে, রাজ্য বা দেশ কী।’’

গল্পের ছলে শুরু হওয়া ক্লাসে ভিড় প্রথম দিন কমই হয়েছিল। এখন অবশ্য প্রতিদিন দুপুর দুটোয় নিয়ম করে ক্লাস শুরু হয়— ‘স্কুল ফর রেভলিউশন’। আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা গল্পের মাধ্যমে দেশ-দশের নানা বিষয়, মনীষীদের জীবনকাহিনি পড়ানো চলে। ১৫-২০ জন বালক-কিশোর মন দিয়ে শোনে। সাহিলের বক্তব্য, ‘‘এখন রোজই প্রতিবাদ চলছে। তত দিনে তো বাচ্চারা শিখতে পারবে। শিক্ষার দরজা বন্ধ করলে প্রতিবাদের রাস্তাতেই তা খোলা হবে। যত তুমি গুলি চালাবে তার পাল্টা হিসেবে আমরা আগামী প্রজন্মের হাতে বই তুলে দেব।’’

Advertisement

এই স্কুল কত দিন চলবে? সাহিলদের জবাব, ‘‘চলবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দিলে দেশের প্রতিটি কোণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলব। শিক্ষা তো বুলেটপ্রুফ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement