Covid 19

কম খরচে করোনা চিকিৎসা সম্ভব? জানতে চায় কোর্ট

বেসরকারি হাসপাতালগুলির আইনজীবী হরিশ সালভের যুক্তি, অতিমারির সময়ে রোগীরা কম আসছেন। হাসপাতালগুলির আয় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০৫:৩৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত

করোনার চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে নির্ধারিত খরচ মেনেই বিল করছে কি না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও হাসপাতালগুলির সংগঠনকে জানাতে হবে, এই প্রকল্প মেনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কম খরচে করোনার চিকিৎসা করা সম্ভব কি না।

Advertisement

একটি জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী, আইনজীবী সচিন জৈন করোনা চিকিৎসার বিলের ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে ১০-১২ লক্ষ টাকা বিল করছে। অথচ কম খরচে সরকারের থেকে জমি পেয়েছিল তারা। অতিমারির সময়ে নিজেদের লাভের জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি যাতে মানুষের উপর বোঝা না চাপাতে পারে এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় খরচই শুধু নেয়, তা দেখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

এই মামলায় প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা করা ২০১৭ সালের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের কথা টেনে বলেন, ‘‘আমরা জানতে চাইছি, (করোনা চিকিৎসায়) এই প্রকল্পে বেঁধে দেওয়া টাকা নিতে হাসপাতালগুলি রাজি আছে কি না।’’ বেসরকারি হাসপাতালগুলির আইনজীবী হরিশ সালভের যুক্তি, অতিমারির সময়ে রোগীরা কম আসছেন। হাসপাতালগুলির আয় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাদের আর এক আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানিয়ে দেন, যাঁরা ওই প্রকল্পের আওতায় নেই, সেই রোগীদের থেকে কম টাকা নেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: সাবধান না হলেই বিপদ, বার্তা হু-র

আজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, অতিমারির সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়, নির্দিষ্ট সংখ্যার রোগীকে তারা বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, করোনা রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়।

তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা করানোর সামর্থ রয়েছে যাঁদের, তাঁদের সরকারি হাসপাতাল ও কোয়রান্টিন সেন্টারে যেতে বাধ্য করা যায় কি না, সে ব্যাপারে অন্য একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। এই মামলা করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা অভিষেক গোয়েঙ্কা। শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement