করোনায় দিল্লিতে জামিন পাওয়া বন্দিদের জামিন আর বাড়াল না সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা সংক্রমণের জন্য জামিনে দিল্লির জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে। তাই আর নয়। এ বার জেলে ফিরতে হবে। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বন্দিদের জামিনের আর্জি খারিজ করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের সময়সীমা।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অতিমারি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই মনে হয়। এই যুক্তিতেই নতুন করে বন্দিদের জামিন খারিজ করেন বিচারপতিরা।
দিল্লির অধিকাংশ জেলেই নির্ধারিত সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি বন্দি থাকে। গত বছর করোনা সংক্রমণের সময় সেই ভিড় কমাতে ধাপে ধাপে ২ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি বন্দিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলি। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন ২৩১৮ জন। ৩৫৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। গত ১৩ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট সব বন্দিকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
যদিও বিচারাধীন বন্দিদের দাবি, দিল্লির সব জেল মিলিয়ে মোট ১০ হাজারের মতো বন্দি রাখার বন্দোবস্ত আছে। কিন্তু বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত মিলিয়ে প্রায় ১৭ হাজার বন্দি থাকেন জেলগুলিতে। ফলে সব জেলেই নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি থাকে। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতিও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষ হয়নি টিকাকরণ। তাই তাঁরা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।