কন্যা শিনাকে হত্যার অভিযোগ ছিল মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
মেয়ে শিনা বরাকে হত্যায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। সাত বছর আগে ২০১৫ সালের অগস্টে তাকে গ্রেফতার করেছিল খার পুলিশ। তারপর থেকেই মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলেই ছিলেন ইন্দ্রাণী। এই মামলায় আরেক অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে গত বছরই আদালত জামিন দিয়েছিল। এ বার জামিন পেলেন ইন্দ্রাণীও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কন্যাকে হত্যা করার মামলাটি চলবে।
এর আগেও বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন ইন্দ্রাণী। কিন্তু আদালত বার বার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ফের ইন্দ্রাণীর জামিন মামলাটি ওঠে। ইন্দ্রাণীর আইনজীবী মুকুল রোহতগী জানান। এই মামলায় এখনও বহু সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া বাকি। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে আরও সময় লাগবে। তা ছাড়া মামলাটিতে ইন্দ্রাণীকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো প্রমাণও তদন্তকারীদের হাতে আসেনি। তাই ইন্দ্রাণীকে জামিন দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এর পরই ইন্দ্রাণীকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়।
বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চের এই রায় নিয়ে অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে। ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী পিটারের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কন্যা শিনার লিভ-ইন সম্পর্কের জেরে তাঁকে তাঁর মা ইন্দ্রাণী খুন করেন বলে অভিযোগ ছিল। আদালতের বেঞ্চ বুধবার বলে, ‘‘মামলাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না আমরা। তবে এই মামলায় শুনানি এখনই শেষ হবে না। মাত্র ৫০ শতাংশ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এখনও এই প্রক্রিয়ার অনেকটাই বাকি। তবে ইন্দ্রাণীর জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রায়াল কোর্ট। আদালত যদি মনে করে, তবেই ইন্দ্রাণী জামিনে মুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তিন বিচারপতি।