Yasin Malik

কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলার শুনানি তিহাড়েই: সুপ্রিম কোর্ট

জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেকেএলএফের নেতা ইয়াসিন মালিককে ২০২২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১১
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-এর নেতা ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত, খুন ও অপহরণের সংক্রান্ত দু’টি মামলার শুনানি হবে দিল্লির তিহাড় জেলে। ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে। তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের আর্জিতে সায় দিয়ে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূঞা সোমবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্ট এবং দিল্লি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দুই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বেঞ্চের নির্দেশ, ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ব্যবস্থা যাতে সঠিক ভাবে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলদের।

ইয়াসিনকে ইউএপিএ-র বিভিন্ন ধারায় ২০২২ সালের ২৪ মে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদের কন্যা রুবাইয়াকে অপহরণ এবং ১৯৯০ সালে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে ভারতীয় বায়ুসেনার চার জওয়ানকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত ইয়াসিনকে বিচারের শুনানিতে হাজির থাকার জন্য গত নভেম্বরে নোটিস পাঠিয়েছিল জম্মুর আদালত। জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জম্মু আদালতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সিবিআই জম্মুর আদালতে ইয়াসিনের ব্যক্তিগত হাজিরা নিয়ে আপত্তি তোলায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ইয়াসিনের উপস্থিতিতে আদালতের নিরাপত্তা ব্যাহত হতে পারে এবং সাক্ষীদের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানির আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে ইয়াসিনের ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারে’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যাতে যথাযথ ভাবে শুনানি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের আয়োজন করা যায়, দিল্লি হাইকোর্টের আইটি (তথ্যপ্রযুক্তি) রেজিস্ট্রারকে তিহাড় জেল পরিদর্শন করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement