সমীর ওয়াংখেড়ে। ফাইল চিত্র।
বিতর্ক সঙ্গী করেই মাদক থেকে রাজস্বের তদন্তে ফিরলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোতে (এনসিবি) মুম্বইয়ের জ়োনাল ডিরেক্টর হিসাবে সমীরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল কিছু দিন আগেই। তার পরে তিনি ফিরেছেন ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সে (ডিআরআই)। সোমবার জানানো হয়, এনসিবির মুম্বই জ়োনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাচ্ছেন ইনদওরের জ়োনাল ডিরেক্টর ব্রিজেন্দ্র চৌধরী।
এ দিকে, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক সোমবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, সমীর ১৯৯৭ সালের অক্টোবর থেকে নিজের নামে বার লাইসেন্স রেখেছেন। সরকারি আধিকারিক হিসাবে তিনি আদৌ এমনটা করতে পারেন কি-না, সেই প্রশ্ন তুলে তদন্ত চেয়েছেন নবাব।
প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার অভিযোগে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে শিরোনামে ফিরে ফিরে এসেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে । তবে আদতে তিনি ছিলেন ডিআরআই-তেই।
ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের ২০০৮ ব্যাচের ওই আধিকারিককে গত ২০২০ সালে ‘ধার’ করে আনে এনসিবি। অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মাদক-যোগের তদন্তের জন্য।
২০২০ সালের ৩১ অগস্ট থেকে এনসিবির মুম্বইয়ের জ়োনাল ডিরেক্টর ছিলন সমীর। পরে তাঁর তিন মাস মেয়াদবৃদ্ধি হয়। তাঁর আমলেই নবাব মালিকের জামাই সমীর খানকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করে এনসিবি।
দীর্ঘ চাপানউতোরের পরে, গত নভেম্বরে সমীরের থেকে আরিয়ান-কাণ্ড-সহ ছ’টি মামলা এনসিবির দিল্লির সদর দফতরে স্থানান্তরিত হয়েছে। এ দিকে, গত ৩১ ডিসেম্বর এনসিবিতে সমীরের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়ে যায়।
রবিবারই সমীরের বিরুদ্ধে এক প্রস্ত অভিযোগ এনেছিলেন নবাব। দাবি করেছিলেন, ওয়াংখেড়ে অঙ্ক কষে নিজের মেয়াদবৃদ্ধি চান না বলে সংবাদমাধ্যমে খবর করাচ্ছেন। এ দিকে, সেই মেয়াদ ফের বর্ধিত করার জন্য মহারাষ্ট্রের কিছু বিজেপি নেতা তদ্বির করে চলেছেন।
নবাবের নালিশ, তিনি ধারাবাহিক ভাবে ‘সত্য’ ফাঁস করে চললেও প্রাক্তন ওই এনসিবি আধিকারিক ‘অন্যায়’ অব্যাহত রেখেছেন এবং নিরপরাধ লোকজনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে চলেছেন।