সচিন পাইলট। ছবি পিটিআই।
ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে লড়ে নভজ্যোত সিংহ সিধু পঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ আদায় করে নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এ বার রাজস্থানেও সচিন পাইলট ফের পুরনো ক্ষমতা ফিরে পেতে চাইছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, পাইলট এখনই উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ফিরে পাবেন কিনা, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই রাজস্থানের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে। সেখানে পাইলটের অনুগামীদের জায়গা মিলবে। একই ভাবে ব্লক ও জেলা স্তরেও সাংগঠনিক রদবদল করে পাইলট-অনুগামীদের গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।
এক বছর আগে মরু-রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে সচিন পাইলট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপির দিকে পা বাড়ানোয় তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। গাঁধী পরিবারের হস্তক্ষেপে দলে থেকে গেলেও পাইলট পুরনো পদ ফিরে পাননি। এক বছর পরে তিনি ফের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনুযোগ জানাতে শুরু করেন। পঞ্জাবে সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ পাওয়ায় পাইলটও মরিয়া হয়ে ওঠেন। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের বাইরে পাইলটের অনুগামীরা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে স্লোগান তুলছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে শনিবার রাতেই এআইসিসি-তে সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত অজয় মাকেন জয়পুর পৌঁছে যান। রাতে গহলৌতের সঙ্গে বৈঠকের পরে রবিবার তাঁরা পাইলট-সহ রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর,
গহলৌত এত দিন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করে পাইলটের অনুগামীদের ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে রাখলেও এ বার তিনি রাজি হয়েছেন। মাকেন বলেন, ‘‘আমি ২৮ জুলাই ফের জয়পুরে যাব। সব বিধায়ককে জয়পুরে থাকতে বলা হয়েছে। এটুকু বলতে পারি, দলের নেতাদের মধ্যে কোনও সংঘাত নেই। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি তাঁরা কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, মাকেনরা দিল্লিতে ফিরে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে আলোচনার পরেই ২৮ বা ২৯ জুলাই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে। পাইলটের অনুগামীদের মন্ত্রিসভায় জায়গা মিললেও তাঁকে কোন পদে বসানো হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।