সচিন পাইলয় ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
রাজস্থান নাটকে এ বার নতুন পর্বের অবতারণা। সচিন পাইলটকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল প্রিয়ঙ্কা গাঁধী শিবির। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতার দাবি, এক বছরের মধ্যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য প্রিয়ঙ্কার কাছে লাগাতার দাবি জানিয়েছিলেন সচিন। সেই দাবি মেনে না নিলে প্রিয়ঙ্কা বা রাহুলের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই বার্তা দলের কাছে যাওয়ার পরই নাকি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে কংগ্রেস।
সচিন শিবির আগেই অভিযোগ তুলেছিল, মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার ৩ ঘণ্টা পর তাঁকে ‘অন্যায় ভাবে’ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর সচিনের সেই দাবি খণ্ডন করে তা নিয়ে শুক্রবার কার্যত বোমা ফাটিয়েছে কংগ্রেস।
প্রিয়ঙ্কা ঘনিষ্ঠ ওই কংগ্রেস নেতার সূত্রে জানা গিয়েছে, সচিন চাইছিলেন তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এটা জনসমক্ষে ঘোষণা করা হোক। সেই আশ্বাস না পেলে প্রিয়ঙ্কা বা রাহুলের সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত করতেও রাজি হননি তিনি। সচিনের এই ‘অন্যায্য’ দাবিতে দল যে খুশি হয়নি, তা পরবর্তী ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁকে রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং প্রদেশ সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনা ছড়িয়েছে উহানের গবেষণাগার থেকেই? গোপন কেব্ল ফাঁস করল আমেরিকা
সচিনের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত বলছে, প্রিয়ঙ্কা ফোনে তাঁর অভিযোগ মন দিয়ে শুনেছিলেন। সূত্রের দাবি, প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, তিনি সব কথা রাহুল গাঁধী এবং সোনিয়া গাঁধীকে জানাবেন। রাজস্থান সরকার এবং দলীয় পদ থেকে সরানোর পরেও সচিনকে বার বার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে দল। কিন্তু সূত্রের খবর, পদ কেড়ে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সচিন। এনডিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে ঘনিষ্ঠ বৃত্তে তিনি এ প্রশ্নও তুলেছেন যে, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কংগ্রেস কী ভাবে সৌহার্দ্যের কথা বলে?’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের আশ্বাসে বিশ্বাস করব কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নই।’’
আরও পড়ুন: লেনদেনের টেপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রাজস্থান পুলিশের
এনডিটিভি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সচিন বলেছেন, ‘‘এক দিকে কংগ্রেস দরজা খোলা বলছে আবার অন্য দিকে আমাকে উপ মু্খ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বরখাস্তের নোটিস ধরানো হচ্ছে। আমাকে অশোক গহলৌতও আক্রমণ করছেন।’’