২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা ঘোষণার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বার টেলিফোনে কথা হল প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে পুতিনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন। তার পর আবার ২ মার্চ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ফোনে কথা হল।
— ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউক্রেনের খারকিভে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার নিয়ে দু’জনের কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ইউক্রেনের সময় সন্ধে ৬টার ‘ডেডলাইন’ অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই খারকিভে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রীদের ‘সেফ প্যাসেজ’ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার সেনা তাঁদের ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দিকে ট্রেনে রওনা করিয়ে দিয়েছে। সেখানে আটকে থাকা ছাত্রদেরও একই ভাবে সীমান্তে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। খারকিভ থেকে ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত প্রায় ২০ ঘণ্টার দূরত্ব।
বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। বিশেষ করে খারকিভ শহরে, যেখানে বহু ভারতীয় আটকে আছেন।’ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে যে সমস্ত জায়গায় যুদ্ধ চলছে, সেখান থেকে ভারতীয়দের নিরাপদে উদ্ধার করার কথাও হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে।
এ দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করার পক্ষে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি। ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ৫টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের দূত টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সামগ্রিকতা বিচার করেই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত।’’
২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের ইউক্রেনে হামলা ঘোষণার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বার টেলিফোনে কথা হল প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে পুতিনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইউক্রেনের খারকিভে অন্তত ৪ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আটকে আছেন। তাঁদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোই এখন ভারত সরকারের অগ্রাধিকার। সেই কারণেই দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী ফোনে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। টেলিফোনে কথোপকথনের পরই রাশিয়ার সেনা ‘সেফ প্যাসেজ’ দিয়ে খারকিভে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।