হামলা অব্যাহত। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের শান্তি আলোচনার জন্য বেলারুশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি সত্যিই আলোচনা চায়, তাহলে আগে বোমা বর্ষণ থামাতে হবে। এ দিকে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার মুদ্রা ‘রুবলে’র ব্যাপক অবমূল্যায়ন ঘটেছে।
— ফাইল ছবি
শিশুদের নার্সারি স্কুল থেকে হাসপাতাল, বসত বাড়ি থেকে অফিস বিল্ডিং। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ইউক্রেনের কোনও অট্টালিকাই। ইউক্রেন সরকারের কাছ থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের বলি হয়েছেন অন্তত দু’হাজার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই অন্তত ন’লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন। যাকে সাম্প্রতিক কালে ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুতগতির গণনিষ্ক্রমণ হিসেবে অভিহিত করছেন কেউ কেউ।
ইউক্রেন সরকার বিভিন্ন সূত্রে মারফত দাবি করছে, এখনও অক্ষত দেশের দুই প্রধান শহর, রাজধানী কিভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী খারকিভ। পাল্টা মস্কো থেকে দাবি করা হয়েছে, খেরসন দখল করে ফেলেছে রুশ সেনা। যদিও এই খবর স্বীকার করেনি ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্ক্সির পরামর্শদাতার দাবি, আড়াই লক্ষ জনসংখ্যার খেরসনে এখনও প্রতিরোধ জারি রয়েছে। তা মোটেই রুশ বাহিনীর কব্জায় চলে যায়নি।
এ দিকে খারকিভ থেকে বুধবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৬ টার মধ্যে সমস্ত ভারতীয়দের বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিল ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় সময় সাড়ে ৯টা নাগাদ সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। এখনও জানা যাচ্ছে না, ওই শহরের ভারতীয়রা সবাই শহর ছাড়তে পেরেছেন কি না।
বুধবার সকাল থেকেই খারকিভে বিমান হামলা চালাতে থাকে পুতিনের বাহিনী। রুশ প্যারা ট্রুপার নামতে থাকে। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়ে যায় মুখোমুখি লড়াই। একই সঙ্গে চলতে থাকে বিমান থেকে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে হামলাও। গোটা দেশেই রুশ হামলার ক্রমশ বিস্তার ঘটছে। কিভে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মুহুমুর্হু বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ। কিভের টেলিভিশন টাওয়ারও উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
হামলা অব্যাহত। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের শান্তি আলোচনার জন্য বেলারুশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি সত্যিই আলোচনা চায়, তাহলে আগে বোমা বর্ষণ থামাতে হবে।