যুদ্ধ-পরিস্থিতির আবহে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এমন জল্পনা শুরু হয়েছে। টুইটার থেকে নেওয়া।
ইউক্রেনের পর কি পড়শি দেশ মলডোভায় সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? যুদ্ধ-পরিস্থিতির আবহে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এমন জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বেলারুশের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন লুকাশেঙ্কো। ওই বৈঠকেরই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট। যে মানচিত্রে ইউক্রেনকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর দাবি, দক্ষিণ ইউক্রেন থেকে মলডোভায় আক্রমণের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা নিয়েই কথা বলছিলেন লুকাশেঙ্কো।
ঘটনাচক্রে, বেলারুশ বরাবরই রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে কারণে ভবিষ্যতে পুতিনের মলডোভা-অভিযান নিয়ে জল্পনা আরও বেশি করে জল-বাতাস পাচ্ছে।
আমেরিকার সংবাদপত্র ‘দ্য হিল’-এর দাবি, ইউক্রেনে কী ভাবে কোন পথে রুশ-বাহিনী অভিযান চালাবে এবং কোথায় কোথায় হামলা করা হবে, তা-ই তুলে ধরা হয়েছে ওই মানচিত্রে। এখনও পর্যন্ত সেই ছকেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। ওই সংবাদপত্রের আরও দাবি, বন্দর-শহর ওডেসা থেকেই মলডোভায় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, পূর্বে ডনবাস এবং দক্ষিণে ক্রাইমিয়া পাশাপাশি পড়শি দেশ বেলারুশের দক্ষিণ ভাগ থেকেও ইউক্রেনের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে রুশ-বাহিনী। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র দাবি, দেশের দক্ষিণ ভাগে আরও সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ ওই বৈঠকেই দিয়েছিলেন লুকাশেঙ্কো। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন-অভিযানে অংশ গ্রহণ করবে বেলারুশ। পাশাপাশিই, বেলারুশের পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছেও বহু সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।