ফাইল ছবি
দেশে ডলারের দাম যখন ৮০ টাকার কাছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে ন’দশ বছর আগেকার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে দিল বিরোধী কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মোদী তখন ইউপিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে টাকার পতন নিয়ে উঠতে-বসতে বিঁধছেন। কী ভাষায় আক্রমণ শানাতেন তিনি, সেই সব কথা নিয়েই শুক্রবার দিনভর কটাক্ষে উত্তাল হল দেশ। তবে টাকার পতন এবং তাকে হাতিয়ার করে বিরোধী পক্ষের এই নিশানার মুখে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর সরকারের কাউকে সে ভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার অবশ্য টাকার দাম কিছুটা ওঠে। এক ডলার ১৭ পয়সা কমে হয় ৭৯.৮২ টাকা। বৃহস্পতিবার তা ৭৯.৯৯ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছিল। যা দেখে উদ্বেগ ছড়ায় দেশ জুড়ে।
টাকার পতনে দেশ নিরাশার গর্তে ডুবে আছে, মুখ্যমন্ত্রী মোদীর অতীতের এই মন্তব্য তুলে ধরে এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তোপ, ‘‘...এই কথাগুলো আপনিই বলেছিলেন, তাই না প্রধানমন্ত্রীজি? ওই সময় আপনি যতটা চিৎকার করেছিলেন, আজ টাকার দামকে দ্রুত পড়তে দেখে ততটাই চুপ করে গিয়েছেন।’’
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে মনমোহনের চুপ করে থাকা নিয়ে মোদীর মন্তব্য— ‘‘টাকা ও প্রধানমন্ত্রী, দুই-ই বাক্শক্তিহীন হয়ে পড়েছে।’’ তাদের মতে, তারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি, ইউপিএ সরকার ২০১৩ সালে মাত্র চার মাসে টাকার পতন আটকে ডলারকে ৬৯ টাকা থেকে ৫৮ টাকায় নিয়ে যায়। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাটের প্রশ্ন, ২০১৪-র আগে মোদী বলেছিলেন, সরকার অসৎ ও দুর্নীতিগ্রস্ত হলে দেশের মুদ্রা পড়তে থাকে। এ বার কী বলবেন?