নিতিন গডকড়ি ও অনিল ফিরোজ়িয়া। ফাইল চিত্র।
প্রতি কেজি ওজন ঝরালে তাঁর কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজ়িয়াকে এমন শর্তই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। ক’মাস বাদেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই চ্যালেঞ্জে সামলে ৩২ কেজি ওজন কমালেন বিজেপি সাংসদ। কথা মতো নিজের কেন্দ্রের প্রকল্পের জন্য টাকাও পেলেন ফিরোজ়িয়া।
এই প্রসঙ্গে ওই বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলাম। কম করে ৩২ কেজি ওজন কমিয়েছি। আমার ওজন কমালে যদি উজ্জয়িনীর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ে, তা হলে নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের স্বার্থে শরীরচর্চা চালিয়ে যাব।’’
প্রতিশ্রুতি মতো ওজন কমানোয় তাঁর কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য টাকাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, গত ১৪ অক্টোবর গডকড়ির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। ওজন কমানোর কথা শুনে উজ্জয়িনীর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ওজন কমানোর কথা শুনে উনি খুবই খুশি হয়েছেন।’’
জানা গিয়েছিল, ফিরোজিয়ার ওজন ছিল ১২৫ কেজি। চলতি বছরের শুরুতে তাঁর কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে শর্ত চাপিয়েছিলেন গডকড়ি। তিনি বলেছিলেন, “অনিল ফিরোজিয়া বার বারই প্রকল্পের জন্য টাকা চাইছিলেন। তখন আমি ওঁকে একটি শর্ত দিয়েছি। আমার ওজন ১৩৫ কেজি ছিল। এখন আমার ওজন ৯৩। অনিলকে আমার আগের ছবি দেখিয়েছি।” এর পরই গডকড়ি বলেন, “সে কারণেই অনিলকে বলেছি, যদি আপনি নিজের ওজন ঝরাতে পারেন, তা হলেই প্রকল্পের টাকা দেব। প্রতি কেজি ওজন ঝরানোর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা দেব সেই প্রকল্পের জন্য।”
কী ভাবে ওজন কমালেন, সে কথাও বিস্তারিত জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠি। প্রাতর্ভ্রমণে বেরোই। শরীরচর্চার পাশাপাশি যোগাসনও করি। আয়ুর্বেদিক ডায়েট মেনে চলি। সকালে হালকা খাবার খাই। মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজে স্যালাড,সব্জি ও একটি রুটি খাই। পাশাপাশি গাজরের রস, ড্রাই ফ্রুটও খাই।’’