উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাধা রাতুরি। ছবি টুইটার।
অনেক সময়ই নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ! যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাধা রাতুরি। যে মন্তব্য ঘিরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বনাম উত্তরাখণ্ডের আমলার বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘অনেক সময়ই নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে তাঁদের অভিযুক্ত বলে দাবি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।’’ এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরোগল পড়ে যায়। উত্তরাখণ্ডের আমলার এই মন্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ধরনের মন্তব্য থেকে আমলার বিরত থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে লখনউয়ের অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেছেন, ‘‘উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের মন্তব্য আমরা শুনেছি। কোনও কিছু না জেনে এ ধরনের মন্তব্য করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত আমলাদের।’’ বিতর্কের পরই উত্তরাখণ্ডের আমলা নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘‘আমি বলতে চেয়েছি অপরাধের ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হোক। শুধুমাত্র যাঁরা দোষী, তাঁদেরই শাস্তি দেওয়া হোক, নিরপরাধদের নয়। সব রাজ্যের পুলিশ ভাল কাজ করছে। অনেক অপরাধের ঘটনা এক সঙ্গেই তদন্ত করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের পুলিশ।’’
গত ১২ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার ভরতপুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন ওই আমলা। ওই গ্রামে জাফর নামে এক বালি মাফিয়াকে গ্রেফতার করতে হানা দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার পরই পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। যে ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। জখম হন উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মী-সহ আরও পাঁচ জন। বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মীকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরে তাঁরা ছাড়া পান। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে জাফরকে গ্রেফতার করা হয়।