শনিবার কেসিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসে যোগ দিলে প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) নিজের ভূমিকা কী হবে, তাই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। তার মধ্যে আগামী বছর তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) দলের সঙ্গে চুক্তি সারল পিকের তৈরি করা আইপ্যাক। যে রাজ্যের ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাই কেসিআরের তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস) বনাম কংগ্রেসের, সেখানে ‘হবু’ কংগ্রেস নেতা বৈঠক করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রধানের সঙ্গে! রবিবার এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে কেসিআরের দলের হয়ে ঘুঁটি সাজাবে আইপ্যাক। এ জন্যই শনিবার হায়দরাবাদে কেসিআরের বাসভবনে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন পিকে। গত বছর বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর নিজের তৈরি সংস্থার মূল কুশলীর পদ থেকে অব্যাহতি নিলেও তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজেই আলোচনা করেছেন পিকে।
সূত্রের খবর, তেলঙ্গানায় টিআরএসের প্রচার পরিকল্পনার ভার নিয়েছেন আইপ্যাকের ঋষি সিংহ। মজার ব্যাপার, যে টিআরএসের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে কংগ্রেস, তাদের ‘হবু’ নেতা বিরোধীর ভোটপ্রচারের ছক কষছেন!
কেসিআর যদিও আগে দাবি করেছেন যে, আইপ্যাকের সঙ্গে তাঁর দলের কোনও চুক্তি হচ্ছে না। জানান, পিকে তাঁর ভাল বন্ধু। জাতীয় রাজনীতি নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়। তবে শনিবারের আলোচনা নিয়ে কোনও পক্ষই সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে কংগ্রেসের দীর্ঘমেয়াদী রণকৌশল তৈরি নিয়ে রাজ্য ধরে ধরে তাঁর পরিকল্পনা পেশ করেছেন পিকে। সংগঠন মজবুত করে দলকে পরবর্তী ভোটের জন্য প্রস্তুত করার পথ খুঁজতে সনিয়া ইতিমধ্যে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছেন। কারও কারও মতে, নিজের শর্তে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন পিকে। কংগ্রেসকে তাঁর পরিকল্পনা বিষয়ে তিনটি প্রেজেন্টেশন দেখিয়েছেন পিকে। মত দিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ৩৭০টি আসনে কংগ্রেসের একা লড়া উচিত।