তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন প্রয়াগরাজে নিহতদের পরিবারের জীবিত সদস্য সুনীল যাদব। নিজস্ব চিত্র।
সিবিআই তদন্ত চাই। তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির সামনে এমনই দাবি জানাল প্রয়াগরাজে নিহতদের পরিবার। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের খেভরাজপুরে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
রবিবার সকালে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, ও মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। উত্তরপ্রদেশ থেকে এই প্রতিনিধিদলে যোগ দেন তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের অভিযোগের কথা জানতে চান তৃণমূল সাংসদরা। নিহতদের পরিবারের সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।সুনীলই সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের দেহের উপর কোনও কাপড় ছিল না। এটা একটি বড় রকমের ষড়যন্ত্র। আমি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই।’’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে কোনও খুন বা ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠলে তার বিরোধিতা করে শাসকদল। এ বার তাদের পাঠানো প্রতিনিধিদলের সামনেই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। প্রতিনিধি দলের সদস্য দোলা বলেন, ‘‘আমরা নিহতদের পরিবারের জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি মনে করেন, তাঁর স্ত্রী ও বোনের ধর্ষণহয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু সুনীল বলা সত্ত্বেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা চাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নিহতদের পরিবার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। তিনি নিজে মনে করেন এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু প্রশাসন বা সরকার এখনও বিষয়টিতে সিবিআই তদন্তের কোনও নির্দেশ দেননি।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার উত্তরপ্রদেশের একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করা হয়। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেভরাজপুরে দু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করে। তার পরেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্প্রতি বগটুই ও হাঁসখালিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল বিজেপি। তারই পাল্টা এই সত্যানুসন্ধান দলটি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।