ভিড়ে একাকার বিমানবন্দর। কেউ কেউ নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে বিমানে ওঠার আগে বিমান উড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি: টুইটার।
মানুষে মানুষে ছয়লাপ। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখারও জায়গা নেই। অভিযোগের পর অভিযোগ জমা পড়েছে অসামরিক উড়ান পরিবহণ মন্ত্রকে। সমাজমাধ্যমে সরব হচ্ছেন নাকাল যাত্রীরা। কেউ লিখছেন, ‘‘এটাই তো নরক!’’ কেউ ছবি তুলে সরাসরি ট্যাগ করছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে।
রবিবার সকাল থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড়। প্রচুর যাত্রী লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিমানবন্দরে। এক টুইটার ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, ‘‘নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জুড়ে বিশৃঙ্খলা। ঘণ্টা তিনেক ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।’’ আর এক টুইটার ব্যবহারকারীর অভিযোগ করেছেন, প্রচণ্ড ভিড়় পেরিয়ে নিরাপত্তার বলয় শেষ করে আর বিমানে ওঠা হয়নি। বিমান ধরতে না পারার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ, সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই নেই! আর এক জন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিমানবন্দর না মাছের বাজার বোঝা মুশকিল। দিল্লি বিমানবন্দরে পাগল করা ভিড়। মাছের বাজারের সঙ্গে হুবহু মিল। প্রত্যেকটি জায়গায় সাপের মতো এঁকেবেঁকে গিয়েছে মানুষের সারি।’’ এর পর তিনি সিআইএসএফ এবং ভিস্তারা বিমান সংস্থার কর্মীদের দোষারোপ করেছেন। জানান, বিমান ওড়ার সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। কিন্তু তার পরও বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।
অভিযোগের পর অভিযোগ জমা হতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং অসামরিক উড়ান পরিবহণ মন্ত্রক। তাঁরা জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে কাজ চলছে।
দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এবং যানজটের অভিযোগ ওঠায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দিল্লি বিমানবন্দরে আচমকা পরিদর্শনের যেতে পারেন বলে খবর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যে কোনও সময় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে যেতে পারেন। তবে এর মধ্যেও যাত্রীদের অভিযোগ অব্যাহত।