INDIA Alliance

মমতাকে বিরোধী মঞ্চের নেত্রী চান লালুপ্রসাদও

সংবাদমাধ্যমের সামনে আজ লালু বলেছেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেত্রী করা উচিত। আর তাতে কংগ্রেসের আপত্তির কোনও মানে নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৪৬
Share:

(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ যাদব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

হরিয়ানা ওমহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হওয়ার পরে প্রায় প্রতিদিন নতুন এক অকংগ্রেসি বিরোধী দলনেতা যে ভাবে ‘জোটের মুখ’ হিসেবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরছেন, তাতে বিস্মিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এটা কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার কোনও চিত্রনাট্য কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। এর আগে এনসিপি (এসপি), এসপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পর আজ মমতার হয়ে ব্যাট করলেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের সামনে আজ লালু বলেছেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেত্রী করা উচিত। আর তাতে কংগ্রেসের আপত্তির কোনও মানে নেই।’’ একই সঙ্গে, তাঁর দাবি, ২০২৫ সালে বিহারে আরজেডি আবার সরকার গড়বে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র নেতা করার লালুর দাবি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে লালু এবং রাহুলের মধ্যে ভাল সম্পর্ক দেখা গিয়েছিল। নিজের হাতে তাঁকে ‘মাটন’ খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল।

কংগ্রেসের বক্তব্য, বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে নিজেদের হাতেই টিকিট বণ্টন-সহ বেশি গোটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় লালুর দল। তাই কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে আজ আরজেডি প্রধানের মমতা-বন্দনা। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতৃত্ব দিলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাতে কোনও ছুৎমার্গ নেই। তবে তৃণমূল শুধু ভোটের সময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে, কংগ্রেস গোটা বছর লড়াই করে।’’

Advertisement

তৃণমূলের অবশ্য ব্যাখ্যা, মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফলাফলের পর শরদ পওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের দল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে। মমতার জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে বিপুল অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তাঁর একটা সুবিধা হল, মমতা বিহার হোক বা মহারাষ্ট্র অথবা অন্ধ্রপ্রদেশ— কোনও আঞ্চলিক দলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন না। তিনি তাই পক্ষপাতহীন ভাবে চালকের আসনে বসতে পারবেন। কংগ্রেস সূত্রে জানানো হচ্ছে, বিরোধী মঞ্চে সবচেয়ে বড় দল কংগ্রেসের। জোটের নেতৃত্ব বদলের কোনও প্রস্তাব আসেনি। সবাই জানেন তাঁর ‘রাজনৈতিক খামখেয়ালিপনা’ এবং জোট রাজনীতিতে ‘স্থৈর্যের অভাবের’ কথা।

অন্য দিকে আজ রাতে শরদ পওয়ারের বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠক করেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল এব আপের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি-সহ কংগ্রেসের কিছু নেতা। নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement