Farmer Protest

ডাবল ইঞ্জিন সরকার কথা রাখেনি! সিপিএমের কৃষক সংগঠনের আবার ‘লং মার্চ’ শুরু মহারাষ্ট্রে

কৃষিঋণ মকুব, ভূমিহীন আদিবাসীদের জঙ্গলের জমির পাট্টা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সেচের সুবিধা এবং কৃষকদের পেনশনের দাবিতে ২০১৮ সালে নাসিক থেকে মুম্বই গিয়েছিলেন ৫০ হাজার কৃষক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নাসিক শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ২১:২২
Share:

মহারাষ্ট্রে আবার লং মার্চ সিপিএমের কৃষক সভার। ফাইল চিত্র।

মার্চের রোদ গায়ে মেখে আবার ‘লং মার্চ’ শুরু করলেন মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা। ঠিক ৫ বছরের ব্যবধানে। নাসিকের ডিন্ডোরি থেকে রাজধানী মুম্বইয়ের উদ্দেশে সেই পুরনো ১৮০ কিলোমিটারের যাত্রাপথ ধরে।

Advertisement

কৃষিঋণ মকুব, ভূমিহীন আদিবাসীদের জঙ্গলের জমির পাট্টা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সেচের সুবিধা এবং কৃষকদের পেনশনের দাবিতে মহারাষ্ট্রে গত এক দশক ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সিপিএমের কৃষক সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া কিসান সভা’ (এআইকেএস)। ওই দাবিগুলি সামানে রেখে ২০১৮ সালে পায়ে হেঁটে নাসিক থেকে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশের ‘অন্নদাতা’দের সেই মিছিলকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছিল মহারাষ্ট্রের নাগরিক সমাজ। বিরোধীরাও সেই ‘লং মার্চ’-কে সমর্থন করেছিল।

প্রবল চাপের মুখে সে বার কৃষকদের দাবি মেনে ছ’মাসের মধ্যে তা পূরণ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। ঘটনাচক্রে, তিনি এখন উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। সিপিএমের কৃষক সভার অভিযোগ, ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বিজেপি জোটের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বস্তুত, ২০১৯ সালেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে মিছিল করেছিলেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে মোদী সরকারের বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মহারাষ্ট্রে আন্দোলনও সংগঠিত করেছেন।

Advertisement

এ বার ১৭ দফা দাবি ভিত্তিতে সোমবার থেকে ‘কিসান লং মার্চ’ শুরু হয়েছে। শামিল হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি কৃষক। আন্দোলনকারীদের আশা, গত বারের মতোই মিছিল যতই মুম্বইয়ের দিকে এগোবে, কলেবরে বাড়তে থাকবে। তাঁদের দাবি, ২০০৬ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে চালু হওয়া অরণ্যের অধিকার আইন অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে মহারাষ্ট্রে। ওই আইন কার্যকর হলে ভূমিহীন আদিবাসী কৃষকেরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে চাষের অধিকার পেতে পারেন। পাশাপাশি, পেঁয়াজ, তুলো, সয়াবিন, সবুজ ছোলার মতো ফসলের সহায়ক মূল্য এবং কৃষিঋণ মকুবের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement