Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কী ভাবে? পাঁচটি পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা

উত্তরকাশীর উদ্ধারপর্ব আট দিনে পা রাখল। শুক্রবার থেকে উদ্ধারকাজ থমকে রয়েছে। ভাঙা সুড়ঙ্গে পৌঁছনোর সব রকম উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে। পাঁচটি পরিকল্পনা রয়েছে উদ্ধারকারীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৬
Share:

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। —ফাইল চিত্র।

উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ এখনও থমকে। শুক্রবারের পর থেকে আর কাজ এগোনো যায়নি। টানা আট দিন ধরে ওই ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য মূলত পাঁচটি পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সময় আচমকা তীব্র শব্দ কানে আসে। সুড়ঙ্গের ভিতরে আবার কোথাও ধস নামে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের বিকল্প পথ ভাবা হয়েছে। অন্য পথ দিয়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

উদ্ধারকারীরা এত দিন সামনের দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সুড়ঙ্গের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন। এ বার উপর দিক থেকে লম্বালম্বি ভাবে খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আবার নীচ থেকে একটি বিশেষ কোণ করে খোঁড়া হবে কি না, তা-ও ভেবে দেখা হচ্ছে। বর্ডার রোডস্‌ অর্গানাইজেশন (বিআরও) সিল্কিয়ারা পর্যন্ত নতুন একটি রাস্তা তৈরি করছে। রবিবার বিকেলের মধ্যে সেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী উদ্ধারকারীরা। সেই রাস্তার মাধ্যমেই সুড়ঙ্গে পৌঁছনো সহজ হবে।

Advertisement

সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার গভীরে আটকে আছেন শ্রমিকেরা। এখনও পর্যন্ত খোঁড়া গিয়েছে মাত্র ২৪ মিটার। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বার করে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আটকে থাকা ৪০ জনই সুস্থ এবং নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তাঁদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পাইপের মাধ্যমেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলতে পারছেন।

সময় যত এগোচ্ছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ তত বাড়ছে। পরিজনেরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ায় অন্যান্য শ্রমিকেরা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দ্রুত উদ্ধার করে আনতে হবে ওই ৪০ জনকে। দেরি হওয়ার নেপথ্যে প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে উদ্ধারস্থলে। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) বিশেষ একটি দল। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উদ্ধারের পাঁচটি উপায় চিহ্নিত করেন। সেই অনুযায়ী শীঘ্র কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement