Police Theft

১২৫ বোতল মদ থানা থেকেই চুরি পুলিশের! বাজেয়াপ্ত সামগ্রী লোপাট করে গ্রেফতার এএসআই-সহ পাঁচ

পাচারকারীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা মদ পরিকল্পনা করে চুরি করলেন পুলিশকর্মীরাই। তাঁদের নেতৃত্ব দিলেন এক পুলিশকর্তা। থানায় সিসিটিভি বন্ধ করে দিয়ে বোতল চুরি করেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা মদের বোতল চুরির অভিযোগ উঠল থানারই এক পুলিশকর্তা এবং কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, থানায় বাজেয়াপ্ত করা মদ যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেখান থেকে বেশ কিছু বোতল সরিয়ে ফেলা হয়। থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর এবং আরও চার কনস্টেবলকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি গুজরাতের মহিসাগর জেলার। শুধু মদের বোতল নয়, বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু পাখাও (টেবিল ফ্যান) চুরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। একই পাচারকারীর থেকে মদ এবং পাখা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ।

বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী থেকে মোট ১২৫টি মদের বোতল এবং ১৫টি পাখা চুরি গিয়েছিল‌। থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার পর কনস্টেবলদের এবং এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) পিএস ভালবি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বাকোর থানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু মদের বোতল এবং পাখা চুরি গিয়েছে। থানায় মহিলাদের লক-আপে সেই বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ডিএসপি বলেন, ‘‘ভারতে তৈরি বিদেশি মদ পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। বাইরে থেকে ওই মদ তিনি গুজরাতে এনেছিলেন। পাচারকারীর কাছে মোট ৭৫টি পাখা ছিল। সেই পাখার বাক্সের পিছনে মদের বোতল লুকিয়ে কাজ হাসিল করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তা ধরে ফেলে। ৭৫টি পাখা এবং মোট ৪৮২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে যার বাজারদর প্রায় দু’লক্ষ টাকার কাছাকাছি।’’

কেন মহিলাদের লক-আপে বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী রাখা হয়েছিল? ডিএসপি জানিয়েছেন, এই ধরনের জিনিস রাখার জন্য থানায় যে স্থান নির্দিষ্ট করা আছে, তা আগে থেকেই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে খালি লক-আপে তা রাখা হয়েছিল। জায়গাটি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি বোতল ভাঙা পড়ে আছে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, এএসআইয়ের নেতৃত্বে ওই মদ চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীন তাঁরা পাঁচ জন মিলে বোতল সরান। বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় থানার সিসিটিভিও। এই ঘটনায় থানার বাইরের এক জনও জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement