মঙ্গলবার পঞ্জাবে আপ পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরেই সঙ্গরুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মান। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে সঙ্গরুরেরই ধুরি আসন থেকে জিতেছেন মান। ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় এ বার ৯২টিতে জিতেছে আপ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ১৮টি আসন।
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করছেন মান। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
শহিদ ভগৎ সিংহের গ্রাম খটকর কালানে পঞ্জাবের ১৭তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা ভগবন্ত মান। বুধবার রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিত তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। মান জানিয়েছেন, হোলির পর পঞ্জাব মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যেরা শপথ নেবেন।
খটকর কালানে বুধবারের শপথ গ্রহণ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া, দলের নেতা সঞ্জয় সিংহ এবং পঞ্জাবের নবনির্বাচিত আপ বিধায়কেরা। নিপাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী ও অফিসারকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নিয়েই আপ বিধায়ক এবং নেতাদের উদ্দেশে মান বিরোধীদের বিদ্রূপ না করার বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’’
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ আমি এখানে কারও সঙ্গে বিবাদ করতে আসিনি। আমি পঞ্জাবের প্রত্যেকের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, যাঁরা আমাদের দলকে ভোট দেননি, তাঁদেরও।’’ শোনা যায়, পঞ্জাবের উন্নয়নের লক্ষ্যে তাঁর নয়া স্লোগান ‘বড়তা পঞ্জাব’। সেই সঙ্গে মানের দাবি,‘‘আমরা যে সঠিক ভাবে সরকার পরিচালনা করতে পারি, এ বার তাঁর পরিচয় পাবেন পঞ্জাববাসী।’’ ভগৎ সিংহের উদ্ধৃতিও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়— ‘‘ভালবাসার জন্মগত অধিকার সকলেরই রয়েছে। এ বার না হয় দেশের মাটিতে ভালবাসা যাক।’’
মঙ্গলবার পঞ্জাবে আপ পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরেই সঙ্গরুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মান। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে সঙ্গরুরেরই ধুরি আসন থেকে জিতেছেন মান। ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় এ বার ৯২টিতে জিতেছে আপ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ১৮টি আসন।