রথীন দত্ত।
ত্রিপুরার প্রথিতযশা শল্য চিকিৎসক পদ্মশ্রী রথীন দত্ত কলকাতায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৮৮। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ও-পারে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ওই সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তাঁর এই অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ সন্মাননা প্রদান করে।
রথীনবাবুর জন্ম অসমের মঙ্গলদৈ-এ। স্কুলের পড়াশোনা শিলংয়ে। ডিব্রুগড় মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে লন্ডন যান এফআরসিএস ডিগ্রি নিতে। কাজ করেছেন বিধান চন্দ্র রায়ের অধীনে।
ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ সচিবের দায়িত্ব থেকে অবসর নেন ১৯৯২-এ। সেই বছরই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ফুটবল তাঁর এতই প্রিয় ছিল যে ব্রিটেনে থাকার সময়ে, ১৯৬৬-তে গাড়ি বিক্রি করে দিয়ে খেলা দেখেছিলেন বলে জানিয়েছে রাজ্যের আর এক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব বিমল রায়চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে স্পোর্টস মেডিসিন কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের ক্রীড়ামহল শোকস্তব্ধ। তাঁর প্রয়াণে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘‘ত্রিপুরার চিকিৎসা পরিষেবায় প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী ডাঃ রথীন দত্তের প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার পরিজনদের প্রতি রইল সমবেদনা।’’
আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে প্রতিবাদে বাধা, হায়দরাবাদ থেকে ভীম আর্মির প্রধানকে ফেরত পাঠালো পুলিশ