গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নরেন্দ্র মোদী সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিসিএ) কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতের নাগরিকদের বঞ্চিত করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে চলে আসা ব্যক্তিদের স্বার্থরক্ষায় কেন এত তৎপর কেন্দ্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে এ বার আন্দোলনে নামলেন ওই তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু এবং শিখ শরণার্থীরা, অবিলম্বে কেজরীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁর দিল্লির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েক হাজার হিন্দু ও শিখ জনতা। শুক্রবারও হল বিক্ষোভ।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। গত সোমবার (১১ মার্চ) সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর তার পরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার কেজরীওয়াল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিএএ নিয়ে ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই তিনি আশঙ্কা করেন, এর ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীর স্রোত আসা শুরু হবে। তার পরিণতিতে ভারতীয় নাগরিকদের বাসস্থান এবং জীবিকার সংকট দেখা দেবে। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়েছিল। জবাবে কেজরী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আজ কিছু পাকিস্তানি আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং হট্টগোল করেছেন। দিল্লি পুলিশ তাদের পূর্ণ সমর্থন ও সুরক্ষা দিয়েছে। বিজেপি মদত জুগিয়েছে। তারা এতটাই সাহস পেয়েছে যে দিল্লির জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করছে!’’