ছবি: পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিরোধীদের সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়ার প্রথম উদ্যোগটি শুরু হয় গত নভেম্বরে সংবিধান দিবসে, সংসদের যৌথ অধিবেশন বয়কট করে বি আর অম্বেডকরের মূর্তির নীচে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলই সেই সময়ে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিকে এই পদক্ষেপটি করতে উৎসাহিত করেছিল। আজ এআইসিসি-র নেতা কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ৩০ জানুয়ারি (গাঁধীর প্রয়াণদিবস) নির্ধারিত অনুষ্ঠান ছাড়াও কংগ্রেস নেতা ও সদস্যেরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করবেন। আজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত শ’তিনেক ছাত্রের সঙ্গে প্রস্তাবনা পাঠ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
সব মিলিয়ে সিএএ এবং এনআরসি-কে সংবিধান-বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠছে প্রস্তাবনা পাঠ। গত ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির যে বৈঠক হয়, কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে রাজ্য স্তরে হিংসা চালানোর অভিযোগে তা বয়কট করেছিলেন মমতা। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর অনুপস্থিতিতে সেই বৈঠকেও প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে এই প্রস্তাবনা পাঠের ব্যাপারে সহমত হয়েছে বাকি বিরোধী দলগুলি। ডেরেকের মতে, ‘‘এটা জেনে আমরা খুশি যে, তৃণমূলের প্রস্তাবিত কৌশলেই চলছে বিরোধী রাজনীতি।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ আইন মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের সামনে মন্ত্রকেরই তৈরি করা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে।