রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র।
মাত্র সাত বছরের মাথায় ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছিল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের অভিঘাত দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানালেন, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ফলে ভারতের অর্থনীতিতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে কিছু ‘অনিশ্চয়তা’র মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শক্তিকান্ত বলেন, “আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে বলছি যে, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ফলে দেশের অর্থনীতিতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।” তবে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার দিকটিও অস্বীকার করেননি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। তাঁর কথায়, “অন্তত দু’তিনটি সমস্যা রয়েছে। প্রথমটি আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ‘এল নিনো’র পূর্বাভাস। অন্য অনিশ্চয়তাগুলোর মধ্যে আবহাওয়া সংক্রান্ত অন্য ঘটনাগুলিও রয়েছে।”
তবে এই অনিশ্চয়তার আবহেও দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নীচে নামানো গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোটবন্দির পরে ২০০০ টাকার নোট বাজারে এনেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সম্প্রতি তা তুলে নেওয়ার কথা জানায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। বলা হয়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট জমা বা পাল্টানো যাবে। তার জন্য কোনও ফর্ম বা পরিচয়পত্র লাগবে না। বিরোধী দলগুলির তরফে অবশ্য এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়, ২০০০ টাকার নোট আনা বোকামো হলেও সরকার তা মানতে রাজি হয়নি। ভাবনা-চিন্তা না করে তা আনা এবং বাজার থেকে তোলার সিদ্ধান্ত ভারতীয় মুদ্রার স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করছে বলেও দাবি করে বিরোধী দলগুলি।