twitter

নেটমাধ্যম অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, টুইটার বিতর্কে রবিশঙ্কর প্রসাদ

বৃহস্পতিবার আমেরিকায় ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডবের ঘটনার সঙ্গে লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনার তুলনাও টানেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।

Advertisement

  সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:০১
Share:

রবিশঙ্কর প্রসাদ। ফাইল ছবি

টুইটার নিয়ে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘‘নেটমাধ্যম অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ এর আগে টুইটারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছিলেনরবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর অনুপস্থিতিতে আলোচনা হয় মন্ত্রকের সচিব অজয় প্রকাশের সঙ্গে। এই সপ্তাহেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’পক্ষ ফের বৈঠকে বসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

কেন্দ্র ও টুইটারের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বের মধ্যেই এই নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, ‘যদি টুইটারের বদলে অন্য অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, তাহলে এতদিন ধরে যাঁরা সেটির অপব্যবহার করলেন, তাঁদেরও বদলে ফেলা যায়’।

বৃহস্পতিবার সংসদে রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ করেছেন, ‘‘দু’দিক রেখে চলতে চাইছে টুইটার।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপের মতো নেটমাধ্যম যদি অপব্যবহার করা হয়, তাহলে বসে থাকবে না কেন্দ্রীয় সরকার। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। একটি সূত্রের দাবি, এই ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’-র অর্থ, টুইটার আধিকারিকদের গ্রেফতারও করা হতে পারে।

Advertisement

সংসদে একাধিক প্রশ্নের জবাবে রবিশঙ্করবলেন, ‘‘ভারতে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা লাভ করছে টুইটার। তবে সংস্থাকে ভারতের সংবিধান মেনে চলতেই হবে।’’ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডবের ঘটনার সঙ্গে লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনার তুলনাও টানেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমেরিকায় ক্যাপিটল হিলে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্তে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছিল টুইটার। কিন্তু যখন লালকেল্লার ঘটনা ঘটল, তখন সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা শুরু হয়েছিল সেখানে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন এই দু’মুখো অবস্থান নিচ্ছে সংস্থা?’’

২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভে দিল্লি জুড়ে তাণ্ডবের পিছনে অনেকেই নেটমাধ্যমকে দোষ দিয়েছেন। সেই সূত্রে টুইটারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মোট ১১৭৮টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারতে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়েছে। যদিও টুইটার পাল্টা জানিয়েছে, কেন্দ্রের প্রস্তাব ভারতের সংবিধান বিরুদ্ধ। তাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বদলে ভারতের কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্টে লাগাম পড়াবে সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement