প্রতীকী ছবি
মদ্যপ পিতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল মাতৃহীন তরুণী৷ শিশুটি বাঁচেনি। এই অবস্থায় তরুণীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল অসমের কাছাড় জেলার ঠালিগ্রামের মানুষ৷ বাড়ি ফিরতে দেয়নি৷ তাঁকে জায়গা দিলে গোটা পরিবারকে একঘরে করার হুমকি দেয়। এক বছর পরে প্রশাসনের তৎপরতায় ওই হুমকি ফিরিয়ে নিয়েছে গ্রামবাসী। ভাইয়ের কাছে ঠাঁই পেয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ধর্ষণের কথা জানালেও পরিবারের কেউ তাঁকে সাহায্য করেননি। প্রসববেদনা উঠলে বাবাই হাইলাকান্দির এক হাসপাতালে ফেলে আসে। পরে 'উওম্যান হেল্পলাইন'-এর চেষ্টায় প্রথমে এক অস্থায়ী হোমে ও পরে শিলচরের উজ্জ্বলা শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর পেলেই তারা ‘ফেরার’ ধর্ষককে গ্রেফতার করবে।
হোম কর্তৃপক্ষ জানান, ঘটনা এক বছর আগের। হোমের তরফে এ বার তাঁরা বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেন। কাছাড় জেলা প্রশাসনের সাহায্যে কথা বলেন তার ভাইয়ের সঙ্গে। ইচ্ছা থাকলেও প্রতিবেশীদের জন্য তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ভাই। এর পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়। বোঝানো হয়, শাস্তি পাওয়া উচিত ধর্ষকের। মেয়েটির নয়। দফায় দফায় বৈঠকের পর গ্রামবাসী তাকে ফেরাতে রাজি হয়। জেলা পরিষদ সদস্য ধনঞ্জয় তেলির উপস্থিতিতে শনিবার বোনকে বাড়িতে ফেরান ভাই।