controversy

রামচরিতমানস বিদ্বেষ ছড়ায়! তুলসীদাসের বই নিয়ে বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে শোরগোল

চন্দ্রশেখরের কথায়, “একটা দেশ তখনই শ্রেষ্ঠ হয়, যখন সে দেশে ভালবাসা এবং স্নেহ থাকে। কিন্তু মনুস্মৃতি কিংবা রামচরিতমানসের মতো বই সমাজে বিভাজনের বীজ রোপণ করে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১১
Share:

বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর। ফাইল চিত্র।

রামায়ণের রামকে নিজের কল্পনা এবং পুরাণের কাহিনি মিশিয়ে তুলসীদাস লিখেছিলেন রামচরিতমানস। পৌরাণিক আখ্যানের জন্য তো বটেই, সাহিত্যগুণের জন্যও এই বইয়ের আলাদা কদর রয়েছে পাঠকদের কাছে। তবে এই রামচরিতমানস নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী, আরজেডি নেতা চন্দ্রশেখর। তাঁর মতে, এই বই সমাজে বিভাজন এবং বিদ্বেষ বাড়িয়েছে।

Advertisement

বুধবার নালন্দা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহানও। সেখানেই চন্দ্রশেখর বলেন, “রামচরিতমানসে বলা হয়েছে সমাজের নীচু তলার মানুষরা লেখাপড়া শিখলে তার ফল বিষময় হবে। এ ধরনের মন্তব্য সমাজে বিভাজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তবে শুধু রামচরিতমানসই নয়, মনুস্মৃতি এবং আরআসএসের প্রাক্তন সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ারকারের ‘বাঞ্চ অফ থটস’ বইকেও সমাজে বিভাজন ছড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন মন্ত্রী।

Advertisement

চন্দ্রশেখরের কথায়, “একটা দেশ তখনই শ্রেষ্ঠ হয়, যখন সে দেশে ভালবাসা এবং স্নেহ থাকে। কিন্তু মনুস্মৃতি কিংবা রামচরিতমানসের মতো বই সমাজে বিভাজনের বীজ রোপণ করে।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, দলিত এবং অনগ্রসর মানুষদের লেখাপড়া শেখার বিরোধিতা করা হয়েছে বলেই মানুষ মনুস্মৃতিকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলে কিংবা রামচরিতমানসের সম্পাদিত অংশকে পাঠ্য হিসেবে গ্রহণ করে। বিজেপি অবশ্য আরজেডির এই মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার মতে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যই এমন মন্তব্য করেছেন চন্দ্রশেখর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement