রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখানো হবে জেএনইউতে। — ফাইল চিত্র।
অতীতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘দেশবিরোধী’ সম্মেলন আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদেরা। সেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) এ বার লাইভ দেখানো হবে অযোধ্যার মন্দিরে রামের বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠান। ২২ জানুয়ারি, আগামী সোমবার তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের নির্দেশে আয়োজন করেছে ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে টাঙানো হবে বিশাল পর্দা। তাতেই দেখা যাবে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র অনুষ্ঠান। সম্প্রচার যাতে সফল হয়, সে দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে কড়া নজর রাখতে বলেছে সঙ্ঘ। ভিএইচপির জাতীয় মুখপাত্র পরবেশ কুমার বলেন, ‘‘কাছের মন্দিরে পুজো করে সেই প্রসাদ জেএনইউ পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করা হবে। রাতে প্রদীপও জ্বালানো হবে।’’
বরাবর বামেদের ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত জেএনইউতে গত বৃহস্পতিবার রামমন্দির নিয়ে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেন সঙ্ঘ কর্মী জে নন্দ কুমার, বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপি নেতা গোপাল কৃষ্ণ আগরওয়াল। অন্য দিকে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ জানুয়ারি জ্বালানো হবে ২ লক্ষ ২৫ হাজার প্রদীপ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্র সংগঠন দখলে রেখেছে এবিভিপি। সঙ্ঘের নির্দেশে সেখানেও এই পদক্ষেপ করা হবে। পরবেশ জানিয়েছেন, এই কাজ মোটেও কঠিন নয়। পাঁচ লক্ষ প্রদীপ জ্বালাতে বললেও অসুবিধা হত না। এবিভিপির এক এক জন সদস্য ৫০টি করে প্রদীপ জ্বালালেই লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে।