অযোধ্যার রামমন্দির। —ফাইল চিত্র।
রামমন্দির নিয়ে এ বার দ্বিমত দেখা গেল বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলির মধ্যেই। এক দিকে এই নিয়ে কংগ্রেসের নীতির প্রতিবাদে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গুজরাতে কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক সি জে চাওড়া। অন্য দিকে, আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহ জানিয়েছেন, অন্যেরা কী করবেন তা নিয়ে তিনি মাথা
ঘামান না। কিন্তু তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধনে যাবেন।
গত কাল গুজরাত বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন গুজরাতের প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক সি জে চাওড়া। সকালেই স্পিকার শঙ্কর চৌধুরিকে ইস্তফাপত্র দেন তিনি।
পরে চাওড়া বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ২৫ বছর কংগ্রেসে কাজ করেছি। গোটা দেশের মানুষ রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে খুশি। কিন্তু সেই আনন্দে শামিল হওয়ার বদলে কংগ্রেস যে অবস্থান নিয়েছে তার জেরেই আমি ইস্তফা দিয়েছি।’’ চাওড়ার বক্তব্য, ‘‘গুজরাতের দুই বড় মাপের নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সমর্থন করা উচিত। কিন্তু আমি কংগ্রেসে থেকে তা করতে পারতাম না।’’ চাওড়ার ইস্তফার পরে গুজরাতে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। আমন্ত্রণ পেলেও রামমন্দিরের উদ্বোধনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যেরা।
অন্য দিকে আপ সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহের কথায়, ‘‘কে যাচ্ছেন না যাচ্ছেন তাতে কিছু এসে যায় না। ঈশ্বরবিশ্বাসী হিসেবে (রামমন্দিরের উদ্বোধনে) আমি যেতে চাই। তাতে কারও সমস্যা থাকলে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।’’ আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল জানিয়েছেন, তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রামমন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই ২২ জানুয়ারির পরে সপরিবারে তিনি রামমন্দির দর্শনে যাবেন।
এক সাক্ষাৎকারে রামমন্দির প্রসঙ্গে বিরোধী দলগুলিকে বিঁধেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিরোধী দলগুলি বলছে নরেন্দ্র মোদী না থাকলে তারা রামমন্দিরের উদ্বোধনে যেত। আমার প্রশ্ন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা (বাবরি ধ্বংস) নিয়ে তাদের অবস্থান কী?’’