Uttar Pradesh

Rajasthan and Uttar Pradesh: ১৬ অগস্ট থেকে স্কুল-কলেজ খুলছে উত্তরপ্রদেশে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্থানে

পুজোর পর বাংলাতেও স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ, জয়পুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ১১:০০
Share:

—ছবি সংগৃহীত।

পুজোর পর বাংলায় স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করল কিছু রাজ্য। আগামী ১৬ অগস্ট থেকে স্কুল খুলছে উত্তরপ্রদেশে। ৫০ শতাংশ পড়ুয়াকে স্কুলে ডেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে যোগী সরকার। রাজস্থান সরকারও আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং ইনস্টিটিউশন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানেও স্কুলে ৫০ শতাংশ পড়ুয়াকে ডেকে ক্লাস শুরু করার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।
রাজস্থান সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা আছে, অন্তত একটি টিকা নেওয়া থাকলে তবেই স্কুল চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অন্যান্য কর্মীরা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো কোভিডবিধি যাতে যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়, তার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল শুরু আগে সকালের প্রার্থনার জন্য পড়ুয়াদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

কবে এবং কী ভাবে স্কুল খোলা হবে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করেছিল রাজস্থান সরকার। ওই কমিটির সুপারিশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকার আগে তাদের বাবা-মা তথা অভিভাবকদের সম্মতিপত্র জরুরি। তাঁরা রাজি থাকলে তবেই স্কুলে আসতে পারবে পড়ুয়ারা। যারা এখনই স্কুলে আসতে ইচ্ছুক নয়, তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসও চলবে পাশাপাশি।

কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহে এখনই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে রাজি নন বাবা-মায়েদের একটা বড় অংশ। উত্তরপ্রদেশে স্কুল খোলার ব্যাপারে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর সামনে এল রিপোর্ট। লা মার্টিনিয়ার গার্লস কলেজের ১,২৫০ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ১৫০ জনের পরিবার সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছে। সেন্ট অ্যাগনেস লরেটো স্কুলের ৭৫ শতাংশ পড়ুয়ার অভিভাবকরা জানিয়ে দিয়েছেন, অতিমারি সঙ্কটে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে তাঁরা রাজি নন। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মায়ের কথায়, ‘‘তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ভয়ে আছি। এখনই মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে চাই না। আরও কয়েক মাস দেখি, তার পর...।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement