ফাইল চিত্র।
নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো লাইনের পাশে মাটি বসে গিয়ে হঠাৎই বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে মাটি বসে ধসের মতো পরিস্থিতি হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ধীর গতিতে ট্রেন চলছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির ফলে নোয়াপাড়া এবং বরানগরের মাঝে ১০০ মিটার জায়গা বসে গিয়েছে। যে হেতু ওই এলাকা নীচু। তাই জল জমে গিয়েছিল। তবে এর কারণে রেললাইনে কোনও প্রভাব পড়েনি। মেট্রো চলাচলও স্বাভাবিক।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রূপায়ণ মিত্র বলছেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য ওই এলাকার মাটি কিছুটা বসে গিয়েছে। এটাকে ধস বলা যায় না। আমাদের নজরে আসা মাত্রই কাজ শুরু করা হয়েছে।’’
শুক্রবার সকাল থেকেই সেখানে কাজে নেমে পড়েন মেট্রোরেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা। বোল্ডার ফেলে মেরামতের চেষ্টা চালানো হয়। অফিস যাওয়ার সময়ে হঠাৎই ঘটনা ঘটায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, মাটি বসে যাওয়ার ফলে সিসিআর ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ব্রিজের পিলারে ফাটল ধরেছে। রিবন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ওই পিলারগুলি। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।
কেন এই ঘটনা, সরকারি ভাবে তার কারণ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে বসে যেতে পারে। তবে এর ফলে মেট্রো সেতুর কোনও ক্ষতি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
বালির বস্তা এবং বোল্ডার ফেলে ওই জায়গা মেরামতের চেষ্টা করছেন। শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই এলাকার মাটি আলগা হয়ে নামতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, মেট্রাে সিসিআর ব্রিজের পাশে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে মাটি বসে যায়।
২২ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।