আদালতের এই রায় তাঁর কাছে উপহার বলে জানালেন তরুণী। প্রতীকী চিত্র।
মাত্র এক বছর বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। সেই বরের সঙ্গেই তাঁকে থাকার জন্য জোর দিত পরিবার। অবশেষে ২১ বছর বয়সে ওই তরুণীর বিয়ে বাতিল করল আদালত। রাজস্থানের জোধপুরের ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রেখা নামে ওই তরুণীকে মাত্র এক বছর বয়সে বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। ঠাকুরদার শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই নাকি গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জ্ঞান হওয়ার পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাননি। শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ি দুই তরফেই তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। রেখা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের মাধ্যমেই মামলা হয় পরিবার আদালতে।
আদালতে ওই তরুণীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। পাশাপাশি, জোর করে সংসার করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি, রেখা এই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইলে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে তাঁর বাপের বাড়ির কাছে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিয়ে ভেঙে ওই মহিলাকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, এখনও বাল্যবিবাহের মতো খারাপ প্রথার সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। এখন, সবার এই প্রথা রদের জন্য শপথ নেওয়া উচিত।
আদালতের এই রায়ের পর ভীষণ খুশি রেখা। তাঁর কথায়, ‘‘যেন স্বপ্ন সত্যি হল। এখন আমার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করব। আমি নার্স হতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘আজই আমার জন্মদিন। আজ আমি ২১ বছরে পা দিলাম। আর আজই এই বিয়ে ভাঙার নির্দেশ দিল। জন্মদিনে এটাই সেরা উপহার।’’