রাহুল গাঁধী
সোমবার রাহুল গাঁধীর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র দফতরে হাজিরাকে হাতিয়ার করে রাজধানীতে প্রতিবাদ জারি রাখবে কংগ্রেস। তবে বদল বিক্ষোভ-কৌশলে। এ বার আর পথে নেমে নয়, দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দিয়েই হবে কংগ্রেসিদের প্রতিবাদ।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার চতুর্থ বারের জন্য ইডি-র দফতরে হাজিরা দেবেন রাহুল। বিজেপির ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র কারণেই কংগ্রেস সাংসদকে বার বার ডেকে পাঠিয়ে ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ইডি দফতরের বাইরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন হাত শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সংসদে গাঁধী মূর্তির পাদদেশেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ, কংগ্রেসের সদর দফতরে ঢুকেও কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। ‘পুলিশি অত্যাচার’-এর বিরোধিতায় দলের সদর দফতরের বাইরে ‘সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি পালন করেছিলেন অধীর, কে সি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু এ বার আর ইডি দফতরের বাইরে প্রতিবাদ নয়। হাত শিবির সূত্রে খবর, সোমবার যন্তর মন্তরে কর্মীরা জড়ো হয়ে রাহুলকে ‘হেনস্থা’ এবং অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করবেন। পাশাপাশিই, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, ‘গোটা দেশ জুড়ে কংগ্রেসের অন্তত ২ লক্ষ নেতা-কর্মী কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প এবং রাহুলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি বিরোধিতা করবেন। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।’