চাপের কৌশল, রাহুল আজই শ্রীনগর সফরে

আজ রাহুলের শ্রীনগরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক তো নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাহুলকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৫
Share:

রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

শনিবার কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। শ্রীনগরের ভিতরে ঢুকতে পারবেন কি না অনিশ্চিত। কিন্তু সরকারের কাশ্মীর নীতির প্রতিবাদ করতে আরও ন’জন বিরোধী নেতার সঙ্গে শহরে ঢোকার চেষ্টা করবেন এই কংগ্রেস নেতা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও কোনও বিরোধী নেতাকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢুকতে দেয়নি দিল্লি। আগামিকাল শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হতে পারে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীদেরও। এর আগে একই ভাবে ফিরে এসেছিলেন গুলাম নবি আজাদ, সীতারাম ইয়েচুরি বা ডি রাজা। এই তিন নেতাই ফের রাহুলের সঙ্গে যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, ডিএমকে-র তিরুচি শিব, আরজেডি-র মনোজ ঝা, এনসিপি-র মজিদ মেমন এবং কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা।

Advertisement

আজ রাহুলের শ্রীনগরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক তো নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাহুলকে। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেই তিনি যাচ্ছেন। আশা করি খুশি মনেই রাহুলকে শ্রীনগরে ঢোকার অনুমতি দেবেন রাজ্যপাল!’’ জম্মু ও কাশ্মীর সরকার অবশ্য রাহুলদের না-আসার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছে।

গত কাল দিল্লির যন্তরমন্তরে ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনের উদ্যোগে প্রায় সব ক’টি বিরোধী দল সরকারের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতায় সরব হন। তাঁরা ধর্না বিক্ষোভও করেন একই মঞ্চ থেকে। অবিলম্বে কাশ্মীরে গ্রেফতার ও গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি তোলেন। তার পরেই আজ ঠিক হয়, সরকারের উপর চাপ বাড়াতে রাহুল ও অন্য বিরোধী নেতারা শ্রীনগরে যাবেন। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘সরকার তো বলছে সব শান্ত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তা হলে আমাদের যেতে আপত্তি কোথায়।’’

Advertisement

এর আগে কাশ্মীরে অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু চলাকালীন সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন রাহুল। সেই সময়ে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, ‘‘রাহুল প্রকৃত সত্য জানেন না। আমি বিমান পাঠাচ্ছি। রাহুল এসে দেখে যান কাশ্মীরের অবস্থা।’’ সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব লুফে নেন রাহুল। সেই সময়ই রাহুল বলেছিলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই তিনি যাবেন। অন্য নেতাদেরও সঙ্গে নিয়ে যাবেন। কাউকে বিমান পাঠাতে হবে না। তখন থেকেই গুলাম নবি আজাদের মাধ্যমে অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন রাহুল। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সরকারের উপর পাল্টা চাপ দিতেই চিদম্বরম-কাণ্ডে কোণঠাসা কংগ্রেস রাহুলকে কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement