সনিয়া এবং রাহুল। ফাইল চিত্র।
তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চতুর্থ দফার জিজ্ঞাসাবাদের মেয়াদ তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এর পর গভীর রাতে দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সনিয়া গাঁধীকে দেখতে যান রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল প্রায় সারা রাত হাসপাতালে ছিলেন। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত ১ জুন সনিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও অন্য কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জুন সনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি। অন্য দিকে, সোম, মঙ্গল এবং বুধবার প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে।
চতুর্থ দফার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ফের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে সময় চেয়েছিলেন রাহুল। সেই আবেদন মেনে সোমবার ফের ডাকা হয়েছে তাঁকে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলেই ২০১৫ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডে সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-অধিকর্তা রাজন কাটোচ অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কিন্তু সেই মামলাতেই চতুর্থ বার রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করায় কংগ্রেসের পাশাপাশি একাধিক বিরোধী দলের তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি তোলা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।