রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে লোকসভায়। ছবি: সংগৃহীত।
টুইটার হ্যান্ডেলে নিজের পরিচয় বদলে ফেললেন রাহুল গান্ধী। শনিবারই সাংসদ পদ বাতিল করা নিয়ে নিজের আক্রমণাত্মক অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই অপসারণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করলেন টুইটার হ্যান্ডলে নিজের পরিচয়েও। রবিবার সকাল থেকে রাহুলের টুইটারে তাঁর ছবির নীচে লেখা রয়েছে, ‘এটি রাহুল গান্ধীর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য।’ এর পরেই নতুন শব্দবন্ধ জুড়েছে অ্যাকাউন্টে। লেখা হয়েছে, ‘ডিস্’কোয়ালিফায়েড এমপি’ (অপসারিত সাংসদ)। আভিধানিক বানান ডিস্কোয়ালিফায়েড-এর বদলে ডিস্’কোয়ালিফায়েড লিখে কি বিশেষ কিছু বলতে চাইলেন অপসারিত সাংসদ? তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য দেওয়া হয়নি। এমনকি, গুগল সার্চেও রাহুলের এই নির্দিষ্ট খবরটির আগে কোথাও ইংরাজিতে ডিস্’কোয়ালিফায়েড বানানের অস্তিত্ব নেই।
শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তাঁকে ২ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সুরত আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।
রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্টে নতুন শব্দ জুড়েছে। ছবি: টুইটার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এর নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে। লোকসভায় রাহুলের মুখ বন্ধ করতেই তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে একই কথা বলেন রাহুল নিজেও। রবিবার তাঁর অপসারণের পর্তিবাদে দিনভর দেশের নানা প্রান্তে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেরা জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলার কথা। যদিও রাজঘাটে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, এতে রাজধানীতে যানজটের সমস্যা দেখা দেবে। রাজঘাট এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।