Baba Siddique

প্রকট হল আইনশৃঙ্খলার ‘দৈন্যদশা’, এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে সরকারকেই দুষলেন রাহুল

শনিবার রাতে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় এনসিপি (অজিত) নেতা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪৯
Share:

(বাঁ দিকে) নিহত বাবা সিদ্দিকি। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকির হত্যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশা— রবিবার সকালে এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

Advertisement

রবিবার রাহুল বলেন, ‘‘বাবা সিদ্দিকির মর্মান্তিক মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি। তবে এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশা। সরকারকে অবশ্যই এই ঘটনার দায় নিতে হবে, ন্যায়বিচার দিতে হবে।’’ এই ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই দুষেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও। শনিবার শিন্ডে ঘোষণা করেন, এই হত্যা মামলার বিচার ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে হবে। এনকাউন্টার-বিশেষজ্ঞ দয়া নায়ক ঘটনার তদন্ত করবেন। সঙ্গে মুম্বই পুলিশকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার রাতে নির্মল নগরে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় এনসিপি (অজিত) নেতা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চলে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সিদ্দিকি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ত্যাগ করেন সিদ্দিকি। যোগ দেন অজিত শিবিরে। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকেই মূল ধারার রাজনীতিতে এসেছিলেন সিদ্দিকি। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হন বান্দ্রা এলাকার এই নেতা। এর পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিন বার ভোটে জিতেছেন। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে হেরে যান সিদ্দিকি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement