Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: আস্থাভাজনদের জিতিয়ে আনতে সক্রিয় রাহুল

রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের প্রবীণ নেতাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত আজ নিয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২২ ০৮:০৫
Share:

বিদেশ থেকে ফিরে রাহুল গান্ধী নিজেই মাঠে নেমে পড়লেন। ফাইল ছবি

গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজনেরা যাতে বিনা বাধায় রাজ্যসভায় জিতে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে ফিরে রাহুল গান্ধী নিজেই মাঠে নেমে পড়লেন।
রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের প্রবীণ নেতাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত আজ নিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল হরিয়ানার বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। দু’দিন আগেই কুলদীপ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। সে ক্ষেত্রে হরিয়ানা থেকে রাহুলের আস্থাভাজন রাজ্যসভায় অজয় মাকেনকে জিতিয়ে আনা কঠিন হবে। তাঁকে হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়নি বলে কুলদীপ ক্ষুব্ধ ছিলেন। আজ ফোনের পরে খুব শীঘ্রই কুলদীপ রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে কংগ্রেস নেতারা আশা করছেন।
হরিয়ানা থেকে মাকেনের পাশাপাশি রাজস্থান থেকে কংগ্রেস রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, প্রমোদ তিওয়ারি ও মুকুল ওয়াসনিককে প্রার্থী করেছে। রণদীপ রাহুলের আস্থাভাজন। প্রমোদ প্রিয়ঙ্কার ও মুকুল সনিয়ার আস্থাভাজন। কিন্তু তিন জনকে জেতাতে হলে কংগ্রেসকে নিজের বিধায়কদের পাশাপাশি অন্যান্য বিজেপি-বিরোধী দল ও নির্দল বিধায়কদের উপরে ভরসা করতে হবে। বিজেপি সুভাষ চন্দ্রকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করে সেই ভোট ভাঙাতে চাইছে। গত রাতে রাহুল বিদেশ থেকে ফেরেন। আজ দুপুরে গুরুদ্বারা রাকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ওয়ার রুমে গিয়ে দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গান্ধী জয়ন্তী থেকে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার প্রস্তুতি ছাড়াও রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
এর পরেই ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল ও হিমাচলের ভারপ্রাপ্ত রাজীব শুক্লকে হরিয়ানায় রাজ্যসভা নির্বাচনের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ পবন বনশল ও ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহদেওকে রাজস্থানে পর্যবেক্ষক করা হচ্ছে। মল্লিকার্জুন খড়্গেকে মহারাষ্ট্রের ভার দেওয়া হয়েছে। কারণ, মহারাষ্ট্রেও বিজেপি কংগ্রেসের শরিক শিবসেনার রাজ্যসভা প্রার্থীকে আটকাতে চাইছে। সেখানে কংগ্রেসের হাতে থাকা অতিরিক্ত ভোট শিবসেনার ঝুলিতে যাওয়া জরুরি। বিজেপি আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের এই সব রাজ্যে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে।
কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীকে এ ভাবেই সক্রিয় দেখতে চাইছেন। আজ দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের ‘নব সঙ্কল্প শিবির’-এ রাহুলকে দলের সভাপতি পদে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাহুলই কংগ্রেসের সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে দলতে মজবুত ও চাঙ্গা করতে পারেন।
বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচা ঠেকাতে রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের ইতিমধ্যেই জয়পুর থেকে উদয়পুরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। হরিয়ানার বিধায়কদের পাঠানো হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে। বিএসপি-র টিকিটে জিতে এসেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়ককে নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আজ উদয়পুরে পৌঁছন। বিএসপি এই বিধায়কদের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লিতে সচিন পাইলটের যুক্তি, ওই ছয় জন এখন কংগ্রেসের বিধায়ক। সকলেই কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেবেন।

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement