মোদী পদবি মামলায় রাহুলকে নিম্ন আদালতের সমনে স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সুরাত আদালতের পাশাপাশি মামলা দায়ের হয়েছিল পটনার একটি নিম্ন আদালতে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সুশীল মোদী রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। ওই মামলায় ১২ এপ্রিল রাহুলকে ডেকে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। ২২ এপ্রিল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পটনা হাই কোর্টে আবেদন জানান রাহুল। সেই মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাই কোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাহুলের তরফে মামলা খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রাহুলের আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠৌর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “যে হেতু একই বিষয় নিয়ে একটি আদালতে মামলা চলছে, তাই অন্য আদালতে মামলাটি চলতে পারে না। তাই আমরা মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলাম।”
গত ৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ‘ফৌজদারি মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, সম্প্রতি সুরাতেরই অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা তার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করেছেন। এর ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হারান রাহুল।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন। রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন।