ছবি: টুইটার।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজধানীতে। সোম ও মঙ্গলবারের পর বুধেও রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের সদর দফতরে ঢুকে কর্মীদের মারধর করছে পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। অভিযোগ, কংগ্রেস কার্যালয়ের সমস্ত প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
রাহুলকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতায় অধীর চৌধুরী, কে সি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা সে দলের সদর দফতরের বাইরে ‘সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি পালন করছেন। বিজেপি ও পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগানও দেন। কংগ্রেস কার্যালয় কার্যত ঘিরে রেখেছেন ওই নেতারা। অধীর বলেন, ‘‘ওরা (পুলিশ) আমাদের কার্যালয়ে ঢুকেছে। কোনও দিন ওরা আমাদের বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার চালাবে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।’’
এদিকে, ইডি দফতরের বাইরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাহুল-অনুরাগীরা। কংগ্রেসের একাধিক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বিক্ষোভের জেরে রাজধানীতে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সংসদে গাঁধী মূর্তির পাদদেশেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস সাংসদরা। আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে বিক্ষোভের সময় তাঁকে লাথি মেরেছে পুলিশ, এমনই অভিযোগ করেছেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি।
বুধবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সনিয়া-পুত্র। গত দু’দিন ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এই ঘটনায় উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। মঙ্গলবার প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে আর্থিক তছরুপের আইনের আওতায় রাহুলের রেকর্ড বয়ান করা হচ্ছে বলে খবর। দ্বিতীয় দিন ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর বোন প্রিয়ঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল। করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।