—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবর্জনা ঘাঁটতে গিয়ে ‘অমূল্য রতন’ পেলেন যুবক। কাগজ কুড়োতে কুড়োতে হঠাৎ তাঁর হাতে ঠেকল বান্ডিল বান্ডিল নোটের বস্তা। তা-ও যে সে নোট নয়, একেবারে আমেরিকান ডলার। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সলমন শেখ। রাস্তাঘাটে কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা অতিবাহিত করেন তিনি। আবর্জনার স্তূপেই তাঁর নিত্যদিনের রুটিরুজি। সম্প্রতি সেই আবর্জনা থেকেই যুবক নগদ টাকার বান্ডিল পেয়েছেন। তিনি জানান, একটি ব্যাগ তাঁর হাতে ঠেকে। খুলে দেখেন, তাতে থরে থরে সাজানো টাকার বান্ডিল। তবে নোটগুলি খানিক অপরিচিত। ২৩ বান্ডিল টাকা গুনেছিলেন যুবক। পরে জানা যায়, সেগুলি সবই আমেরিকান ডলারের বান্ডিল।
যুবক উদ্ধার করা ব্যাগটি প্রথমে নিয়ে যান তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাগটি থানায় জমা দেন। বেঙ্গালুরুর হেব্বল থানা এই নোটের বান্ডিলের রহস্যভেদের দায়িত্ব পেয়েছে। কোথা থেকে এত বিদেশি টাকা এল, কে বা কারা সেগুলি আবর্জনায় ফেলে গেলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডলারের নোটগুলি আদৌ আসল কি না, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে।
টাকার বান্ডিলগুলির সঙ্গে রাসায়নিক পদার্থ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, ডলার দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে এই টাকার যোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক চক্রের হদিশও মিলতে পারে এই তদন্তে, মনে করছে পুলিশ।