পর্যটন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কাশ্মীরেই

জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের যাতায়াতের উপরে গত অগস্ট মাসে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল আজ। পর্যটকেরা কাশ্মীরে বেড়াতে এলে তাদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

কাশ্মীর। ছবি: পিটিআই।

প্রায় দু’মাসের মাথায় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল ভূস্বর্গের দরজা।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের যাতায়াতের উপরে গত অগস্ট মাসে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল আজ। পর্যটকেরা কাশ্মীরে বেড়াতে এলে তাদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু প্রশ্ন হল যে, ফি দিন যেখানে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে সেনা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সেখানে পর্যটকেরা কেন উপত্যকায় বেড়াতে যাবেন। বিশেষ করে যেখানে বাড়তি বাহিনী সরে গেলেই উপত্যকায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সরকারের অন্দরমহলে। সেই অশান্ত ছবিকে মাথায় রেখে, মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ কাশ্মীরকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়াটা আসলে লোক দেখানো পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন উপত্যকার ব্যবসায়ীদের একাংশ।

অগস্ট মাসে বিশেষ মর্যাদা লোপের ঠিক দু’দিন আগে গোটা রাজ্য থেকে পর্যটকদের তড়িঘড়ি বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেই থেকে কার্যত পর্যটক শূন্য কাশ্মীর। অতীতে অশান্ত কাশ্মীরেও দুর্গাপুজোর সময়ে বাঙালি পর্যটকদের পরিচিত আনাগোনা দেখা গিয়েছে। এখন তা-ও না-থাকায় কার্যত পথে বসেছে অধিকাংশ পর্যটন সংস্থা। চলতি অচলাবস্থা পর্যটন শিল্পের কোমর ভেঙে দিয়েছে বলেই দাবি কাশ্মীর হোটেল শিল্প সংগঠনের সভাপতি আসিফ বুরজার। তিনি মানছেন সরকারের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তাঁর বক্তব্য,‘‘পর্যটন শিল্পের ঘুরে দাঁড়াতে প্রচুর সময় লেগে যাবে। এক দিকে মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ। অন্য দিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পর্যটকেরা যে বেশ কিছু দিন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন সেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।’’ আপাতত বুরজারা দীপাবলি ও শীতে পর্যটকের আগমনের ভরসায় বুক বাঁধছেন। কিন্তু যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে কিছু নেই সেখানে কেন লোক আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বুরজা বলেন, ‘‘পর্যটক ও সংস্থাগুলির আধিকারিকেরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। দ্রুত মোবাইল পরিষেবা চালু করতে হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনের পাল্টা দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত। পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে তাই দেশ জুড়ে প্রচারে দ্বিগুণ জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে হোর্ডিং ছাড়াও, পর্যটকদের তথ্য জোগাতে বসছে কিয়স্ক। বিদেশি পর্যটক টানতে বিশেষ প্রচার চালানো হবে বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement