(বাঁ দিকে) সলমন খান, (মাঝে) লরেন্স বিশ্নোই এবং পাপ্পু যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদবকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিশ্নোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পুর দাবি, সম্প্রতি তাঁকে একটি অডিয়ো ক্লিপ পাঠানো হয়েছে। ওই অডিয়ো ক্লিপে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তিনি নিজেকে বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করছেন। সলমন খানের বিষয় থেকে দূরে না থাকলে, পাপ্পুর প্রাণনাশ হতে পারে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সাংসদ কখন কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন— সব গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে অডিয়ো বার্তায় বলা হয়েছে।
সাংসদের হোয়াটস্অ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে ওই হুমকি অডিয়োটি এসেছে। সূত্রের খবর, আজ্জু লরেন্স নামে ব্যবহার করা হচ্ছে ওই হোয়াটস্অ্যাপ অ্যাকাউন্টটি। যে নম্বরটি থেকে হুমকি এসেছিল সেটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মোবাইল নম্বর বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুষ্কৃতী দলের পাণ্ডা লরেন্স বিশ্নোই বর্তমানে জেলবন্দি। রয়েছেন আমদাবাদের সবরমতী জেলে। ওই অডিয়ো বার্তায় বলা হয়েছে, বিশ্নোই নাকি সরাসরি সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এর জন্য নাকি বিশ্নোই গ্যাং সিগন্যাল জ্যামারের ব্যবস্থাও করছেন। যার জন্য প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ টাকা করে খরচ হচ্ছে। কিন্তু বিশ্নোই গ্যাং একাধিক বার ফোন করার চেষ্টা করলেও সাংসদ তা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই হুমকি অডিয়ো পাওয়ার পরই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সাংসদ। বিহার পুলিশের ডিজি অলোক রাজকেও এ বিষয়ে জানিয়েছেন পূর্ণিয়ার সাংসদ। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। পাপ্পুর অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে পূর্ণিয়ার আইজিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন ডিজি। পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন পাপ্পু। তিনি বর্তমানে ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। তা বর্ধিত করে জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন পূর্ণিয়ার সাংসদ। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির খুনের পর সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন পূর্ণিয়ার সাংসদ। হামলার নিন্দা করে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও। তিনি লিখেছিলেন, “যদি আইন অনুমতি দেয়, লরেন্স বিশ্নোইয়ের গ্যাংয়ের মতো অপরাধ চক্রকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে দেব।” গত ২৪ অক্টোবর মুম্বই গিয়ে সিদ্দিকির পুত্র জিশানের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন পাপ্পু। সলমনের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সলমনের ব্যস্ত সূচি থাকার কারণে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি।