মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় ১৫তম গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। এ বার পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে ধরে আনা হল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তকে। তাঁর নাম সুজিত সিংহ। তিনি মুম্বইয়ের ঘাটকোপর এলাকার বাসিন্দা। মাসখানেক আগে তিনি পঞ্জাবে গিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিদ্দিকি খুনের চক্রান্তের সঙ্গে সুজিতের যোগ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার প্রমাণও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রী বলে যাঁকে মনে করা হচ্ছে, সেই জ়িশান আখতারের সঙ্গে দুই অভিযুক্তের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন এই সুজিতই। সিদ্দিকি খুনের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল নিতিন সাপরে এবং রাম কনৌজিয়াকে। তাঁদের সঙ্গে জ়িশানের যোগাযোগ হয়েছিল সুজিতের মাধ্যমেই, দাবি পুলিশের। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে কাজ সেরে সোজা পঞ্জাবে চলে গিয়েছিলেন সুজিত। সেখানে লুধিয়ানায় নিজের আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন তিনি। সেখানে একপ্রকার গা-ঢাকা দিয়েই ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজ পেয়ে লুধিয়ানায় অভিযান চালায় মুম্বই পুলিশের একটি বিশেষ দল। তারাই শুক্রবার সুজিতকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় দশেরা উৎসব চলাকালীন সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। পুত্র জ়িশান সিদ্দিকির দফতরের সামনেই খুন হন বাবা। তাঁকে লক্ষ্য করে তিন জন দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও এক জন পলাতক। মূল হামলাকারী সে-ই, অনুমান পুলিশের। এ ছাড়াও এই ঘটনার ‘মূলচক্রী’ জ়িশান আখতারকেও এখনও ধরা যায়নি। গত দু’সপ্তাহে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, মুম্বইয়ের জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠী সিদ্দিকির খুনের নেপথ্যে রয়েছে। লরেন্সের ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের সঙ্গে সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্ত শুটারদের কথা হয়েছিল, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আনমোল আগেই দেশ ছেড়েছেন। তিনি কানাডায় আছেন বলে অনুমান। সেখান থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ছক কষেছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনআইএ আনমোলের খোঁজ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে।