পুরীর মন্দির। —ফাইল চিত্র।
এক সেবায়েতের নাকি ‘অপরাধ’, পুরীর মন্দিরের রীতি ভেঙে তথাকথিত ‘নিচু’ জাতের সেবায়েত কন্যাকে বিয়ে করেছেন! সেই সেবায়েতই মন্দিরের কাজ সারতে গর্ভগৃহে ঢুকে জগন্নাথের শ্রীবিগ্রহ স্পর্শ করায় শুক্রবার দিনভর তুলকালাম কাণ্ড ঘটল।
ওই সেবায়েতের কাজ গর্হিত কি না, বিতর্কে মন্দিরের আচার, অনুষ্ঠান এমনকি জগন্নাথদেবকে ভোগ নিবেদনই বন্ধ হয়ে গেল। মন্দিরের রত্নসিংহাসন, শ্রী বিগ্রহ ‘শুদ্ধিকরণে’র পরে ১০ ঘণ্টা দেরিতে ভোগ নিবেদন করা হয়। জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক রঞ্জনকুমার দাস বিষয়টির তদন্ত করে দরকারি পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে মন্দিরের সেবায়েত শঙ্খমিত্র শৃঙ্গারী তাঁর কাজ শুরু করার পরেই ঘটে বিপত্তি। শৃঙ্গারী সেবায়েত শঙ্খমিত্র বিগ্রহের সাজসজ্জা পরানোর কাজ করছিলেন। ওই শৃঙ্গারী মন্দিরের জ্যোতিষী এক সেবায়েতের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন ২০১৭ নাগাদ। ভিন জাতের সেবায়েতের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ, এ কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্দিরের পূজাপান্ডারা। তাঁরা বলেন, ওই শৃঙ্গারীর সেবার অধিকার নেই। পুরীর মন্দিরে দর্শন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। মন্দিরের প্রতিহারী রঘুনাথ গোছিকর বলেন, “শেষে দুপুর দুটোয় মন্দিরের গর্ভগৃহে মহাস্নান নীতি পালন করে শুদ্ধিকরণ শুরু হয়। প্রভুর খুব কষ্ট হয়েছে। সকালের জলখাবার বেলা আটটার বদলে তিনি বিকেল পাঁচটায় পেয়েছেন। দুপুরের খাবার খেয়েছেন রাত সাড়ে ১০টা এবং রাতের খাবার রাত সাড়ে ১২টায়। এমনটা অনভিপ্রেত।” রাতে শঙ্খমিত্র শৃঙ্গারী তাঁকে গালমন্দ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।