মঙ্গলবার শ্রীক্ষেত্রে রথযাত্রার মধ্যে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জও দেখছে উৎকল প্রশাসন। —ফাইল চিত্র।
প্রভু জগন্নাথদেবের মানবলীলা বটে! তবু আজ, মঙ্গলবার শ্রীক্ষেত্রে রথযাত্রার মধ্যে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জও দেখছে উৎকল প্রশাসন। চড়া রোদ এবং কার্যত প্রাণবায়ু নিংড়ে নেওয়া আর্দ্রতায় ভক্তেরা যাতে অসুস্থ না-হয়ে পড়েন সেই দিকটাতেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, রথের দিন পুরীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রথ টানা বা রথ ঘিরে উন্মাদনার ক্লেশ সহনীয় হবে। তবু আবহাওয়ার মোকাবিলাতেও আপৎকালীন ব্যবস্থায় ফাঁক রাখছে না প্রশাসন।
পুরী জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার থেকে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত কিলোমিটার তিনেক পথ (বড় দাণ্ড বা গ্র্যান্ড রোড) জুড়ে অন্তত ২২টা জায়গা জল ছিটনোর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। জগন্নাথধামের আবহমান বিশ্বাস বলে, রথে জগন্নাথদেবকে একবার দর্শন করলে জীবযন্ত্রণা থেকে মুক্তি নিশ্চিত। তাই ভক্তের দল স্বভাবতই বড় দাণ্ডে রথের সঙ্গে ছুটবে। ওই সময় দু’ধার থেকে জল সিঞ্চনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
এ ছাড়া, অন্তত ২৫ লক্ষ জলের বোতল মজুত রাখছে প্রশাসন। প্রশাসনের ধারণা, অন্তত ২০ লক্ষ লোক ভিড় করবে। তবু প্রতি বছরই রোদে বেশ কয়েক জনের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বার ৭২টি অ্যাম্বুল্যান্স মজুত থাকছে। তাদের জন্য ‘গ্রিন করিডর’ও করা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিকাঠামোও ঢেলে সাজানো হয়েছে।
স্নানপূর্ণিমার পর থেকে জ্বরে আক্রান্ত জগন্নাথ লোকচক্ষুর আড়াল থেকে এ দিনই প্রকট হয়েছেন। মন্দিরে জগন্নাথদেবের নবযৌবন বেশ দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। কাল রথের আচার ঘড়ির কাঁটা ধরে চলবে নিশ্চিত সেবায়েতকুল।