ফোন ব্যবহার নিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি। মন্দিরের মধ্যে দর্শনার্থীদের ফোন ব্যবহারে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি, পুলিশকর্মীরাও মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারতেন। এ বার মন্দিরের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না সেবায়েত ও মন্দিরের কর্মীরাও।
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার নিয়ে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। সম্প্রতি মন্দিরের ‘ছত্তিশা নিয়োগ’-এর এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ‘ছত্তিশা নিয়োগ’ নামে একটি বিশেষ কমিটি।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরের মধ্যে এক মাত্র কমান্ডার স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। মন্দিরের নিয়ম-রীতি কখন পালন করা হচ্ছে, তা জানানোর জন্য তাঁর কাছে ফোন রাখা থাকবে। এই প্রসঙ্গে ‘শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এসজেটিএ-র চেয়ারম্যান বিক্রম যাদব বলেছেন, ‘‘১ জানুয়ারি থেকে কেউই মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি, সেবায়েত ও এসজেটিএ কর্মীরাও পারবেন না ফোন ব্যবহার করতে।’’
তবে ঠিক কী কারণে মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার নিয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ করা হল, তা স্পষ্ট নয়। তবে সম্প্রতি মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন বাংলাদেশের এক ইউটিউবার। সেই ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক বাধে। তার পরই মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে তৎপর হন মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে ছবি ও ভিডিয়ো তোলা নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নানা সময়ে মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি ও ভিডিয়ো তুলতে দেখা গিয়েছে দর্শনার্থীদের।