চরণজিৎ সিংহ চন্নি এবং তাঁর ভাই মনোহর সিংহ।
কলকাতায় পুরভোটের মুখে শাসক দলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতা। দেশের উত্তরের রাজ্য পঞ্জাবেও শাসকদল কংগ্রেস বিধানসভা ভোটের মুখে একই সমস্যার মুখোমুখি। তবে ঘটনাটি ওজনে বাংলার থেকেও কিছুটা বড়। শাসকদল যাঁকে টিকিট দিতে রাজি হয়নি তিনি মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নির ভাই, চিকিৎসক মনোহর সিংহ। রবিবার মনোহর জানিয়েছেন, কংগ্রেস তাঁকে টিকিট না দিলেও তিনি ভোটে লড়বেন। কংগ্রেসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন নির্দল প্রার্থী হয়ে।
মনোহর রাজনীতিতে এসেছেন সম্প্রতিই। সরকারি মেডিক্যাল অফিসারের পদ ছেড়ে বিধানসভা ভোট ঘোষণার মাস কয়েক আগেই কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়াই যে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের লক্ষ্য, তা না বোঝার কথা নয় কংগ্রেস নেতৃত্বের। তারপরও বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায় নাম রাখা হয়নি মনোহরের। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে কংগ্রেস এখন এক পরিবার এক পদ নীতিতে চলছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের আরও একজন সদস্যকে বিধায়ক পদের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে না।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চন্নির পরিবার পঞ্জাবের প্রভাবশালী পরিবার। পঞ্জাবের পুয়াধ সংস্কৃতির এলাকাগুলিতে এই পরিবারের জনপ্রিয়তাও রয়েছে। চন্নির ভাই মনোহর চেয়েছিলেন পুয়াধের অন্তর্ভুক্ত বসসি পঠান বিধানসভা এলাকায় তাঁকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু তার বদলে কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী করেছে আগের বারের বিধায়ক গুরপ্রীত সিংহ জিপিকেই। এমনকি গুরপ্রীতের সমর্থনে সেখানে জনসভাও করেছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, পঞ্জাবে যেখানে দলের মধ্যে দু’টি আলাদা শিবিরের বিবাদ জলের মত স্পষ্ট সেখানে বিধানসভা ভোটের মুখে এই ঘটনা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যেতে পারে।
রবিবার মনোহর নির্দল প্রার্থী হিসেবে বসসি পঠান থেকে লড়ার ঘোষণা করার পর এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তাঁর দাদা মুখ্যমন্ত্রী চন্নি। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সিধুও কিছু জানাননি। দল মনোহরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কি না সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি কংগ্রেসের তরফে। যদিও মনোহর বলেছেন, সিধু তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই বৈঠক রবিবার অবধি হয়ে ওঠেনি।